
১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাদপুর উপজেলার সাবেক এম.সি.এ এডভোকেট আব্দুর রহমান সহ শাহজাদপুরের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কলেজটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন ও ১৯৯৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলা সদরে শেরখালি গ্রামে আব্দুল হামিদ মিয়ার দানকৃত ৭৫ শতক জমির উপর কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।পরবর্তিতে ডিগ্রি অধিভূক্তির সুবিধার্থে আরও ৪৩ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।কলেজটি ১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী কর্তৃক একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, বানিজ্য ও মানবিক বিভাগে ছাত্রী ভর্তি ও পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়।অতঃপর বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজটি ১লা জুলাই, ১৯৯৭ তারিখে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৫ মে, ২০০০ তারিখে এম.পি.ও ভূক্ত হয়। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল ডিগ্রি (পাস) বি.এ ও বি.এস.এস কোর্স চালুর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়। ১২ অক্টোবর ২০২২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারিকরণের ঘোষনা দেন। ৩, জুন ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির জিও জারি হয়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় ‘সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা ডিগ্রি কলেজ’।
বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজ প্রতিষ্ঠার পটভূমি
৭৫’র রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দুই দশক পরে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অনুকূলে আসে। সেই সময়ে শাহজাদপুরে বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন অনুসারী ব্যক্তি ও সুধীজন বঙ্গবন্ধুর নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। শাহজাদপুরে অনেকগুলো কলেজ থাকলেও কোন মহিলা কলেজ না থাকায় নারী শিক্ষার সুবিধার্থে একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কলেজটির নামকরণের বিশেষ কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর শাহজাদপুর আগমনের স্মৃতি ধরে রাখা।